See More Post

আমার ছোট বেলার কিছু কথা


💦আমরা  5 ভাই  4 বোন। ভাইদের   মধ্যে   আমি   4 

 নাম্বার  💦


  👍যতটুকু    বুজ   জ্ঞান  হয়েছে   তখন  থেকে  দেখতে  পেলাম  । আমাদের  মা  বাবার  সংসার  খুবই  অভাবের ।

তার  মধ্যে  আমরা  9 ভাই  ,  বোন  🖖


💦মায়ের  কাছ থেকে  শুনা  ।

বাবা ছিলেন  সবার আদরের কারন  বাবা  দাদা  দাদির  এক  ছেলে  ।

আমি  আবার   দাদা,  দাদি , নানা, নানি,  ওনাদের  কে  দেখি  নাই  ।

ওদের  আদর   ও  আমি  পাইনি  । 

যাই  হোক  আল্লাহ্ তায়ালা এই  পর্যন্ত  এখনো    দুনিয়াতে   নিশ্বাস  নেওয়ার সুযোগ  করে দিয়েছেন  ।  তাই  ওনাদের  প্রতি  রাগ  অভিমান  না করে  আল্লাহ্ তায়ালার   কাছে  দোয়া  করি আল্লাহ্   তায়ালা  যেন  ওনাদের  কে জান্নতুল  ফিরদাউসের  উঁচু  মাকান  দান  করেন  সবাই  বলি আমিন  💦


🤲পরিশেষে আল্লাহ্ তায়ালা র  অশেষ  রহমতের ধারায়   🤲


🤝আমার আব্বা সি এন বি তে চাকরী করতেন।

সি  এন  বি  অফিস হল 

আমাদের  বাংলাদেশের  রোডের  কাজের  সেক্টর  ।

সরকারি  ঠিকা দারের  মাধ্যমে   ।  সরকারি  টাকায়  কাজ  হয় 🤲


💦যাই হোক  মায়ের  ব্যাপারে  আসি   ।

মায়েরা  হল  3 বোন   2 ভাই।

মা  , হল  মেঝ   , বোনদের   মধ্যে  । নানুকে  হারান  সেই   ছোট বেলায়  ।

মা ,ও  বিয়ের  আগে   এবং  পরে দুঃখ  কষ্টের  মাঝে  জীবন যাপন করছেন  💦


💥মায়ের পরে  ছিল  ছোট  খালা  , খালার  2  বছর   বয়সে  নানু  মারা  যান   ।

মাকে  এবং  ছোট  খালাকে  দেখা  শুনা করতেন  বড়  খালা।

বড় খালা ছিল  সবার  5 ভাই বোনদের মধ্যে  বড়  ।

তাই  ওনাকে  ছোট  বোনদের প্রতি   দায়িত্ব বার  পালন  করতে  হয়েছে । ওনি  ও বর্তমানে  এই  পৃথিবীতে   থেকে   বিদায়  জানিয়ে চলে  গেছেন  না ফেরার দেশে  ।

তাই  ওনার  আত্মার  শান্তি কামনা করছি  ।  এবং   সবাই মিলে  ওনার জন্য  দোয়া  করি   আল্লাহ্ তায়ালা  যেন  ওনাকে  জান্নতুল ফিরদাউসের উঁচু মাকান দান করেন  সবাই বলি আমিন  💥


💥অভাবের   সংসারে   টানা  পুরনোর  সময়ে     বড়  খালা  এবং  খালু   আমাদের  দেখা   শুনা করতেন  খোঁজ খবর   রাখতেন  । ওনাদের অভাব ছিল  না  ।  তাই  ওনাদের  বাড়ি তে    আমার   বড়  ভাই এবং  মেঝ ভাই     ওনাদের   জমি  জমা এবং  বাগান  বাড়ি  দেখা  শুনা করতেন  ।  এবং  দায়িত্ব  পালন  করতেন💥


💚যাইহোক   তাদের  পালা  শেষ   💚

 


 👌এখন  আসি  আমার  কথায়   👌


  💢যখন আমি ক্লাশ শিশু  শেষ  করার পর  ক্লাশ  ওয়ানে  আসি  ।       1 বছর  শেষ  করি   তাঁর  পর   ক্লাশ  2 তে আসছি।   তখনো   দরিদ্রতা লেগেই আছে  পিছনে  ।   কথায়  আছে না  গরিবের  নুন  আনতে পান্তা ফুরায়  ।   তখনি  আমার  খালাতো ভাই একটা   ভিসা  দিলো  কাতার  থেকে  মেঝ  ভাইয়ের  জন্য  ।  তখন ,  খালু  বায়না ধরলেন  তাদের  বাড়িতে   আসতে  হবে   আমাকে।   তখন  আমি  বললাম  আমি  যাবো  না   ।  তখন আমি  মাএ  দ্বিতীয়  শ্রেণীতে  উঠলাম  । আমার  ভাই  বললেন   তুমি  এখন  খালার  বাড়িতে  যাও   । আমি যখন  বিদেশে  চলে  যাবো  তখন  তুমি  বাড়িতে  চলে  আসবা  💢এই কথার  

 মাঝে  ওখানে   দ্বিতীয়  , তৃতীয়, চতুর্থ,  পঞ্জম  পর্যন্ত  

ওখানে   ছিলাম  ।    এর  মাঝে  যখন  সুপারির  সৃজন  তখন   সুপারি  গাছ থেকে    সুপারি  পাড়া।  নারীকেল  গাছে  উঠে  নারিকেল  ডাব  পাড়া  । প্রতি  সপ্তাহে  সমবার  ও  শুক্রবার  খালু  বাজার  করে দিত আমি  তা মাথায় করে  বাড়িতে নিয়ে  যেতাম  20 থেকে  25 কেজি  । তারপর  আবার  প্রতি  সপ্তাহে   25 থেকে  30 কেজি  ধান   মাথায়  করে  নিয়ে  রাইচ  মিলে  ভাংগিয়ে  আনতাম  ।  তারপর   ভাদ্র  , আশ্বিন,  কার্তিক  মাসে  আনতা  পেতে  মাছ  ধরা   ।  আবার  যখন   খাল  বিলের   পানি  নেমে  যায়   শীতের  সময়ে  ।  তখন  আবার  খালের পাড়ে   ছোট  করে  লতা  পাতা    দিয়ে  ঘর  বানিয়ে   রাত অতিবাহিত করতে  হতো।  মাছ  পাহারা  দেওয়ার  জন্য  যাতে  করে   মাছ   অন্যের  সীমানায়   বা  এক যায়গায মাছ  ধরা  হয়েছে। অন্য   যায়গায়  বাকি  আছে  এর  মাঝে  মাটি  দিয়ে  উচ্চ তা  বাডিয়ে   জাল দিয়ে  ভেরিকেট  দেওয়া  মাছের  জন্য  । আমাকে অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। আর  এমন   কোন  ছেলের  জীবনে  ঘটেছে  কিনা  তা আমার  জানা  নেই  ।   রাতে  মাগরিবের  পর  থেকে  ফজরের আগ মুহূর্তে   মাঘ  মাসের  তীব্র শীতের  রাতে  মাছ  অন্যের সীমানায়  যাতে  যেতে  না পারে   । তার  জন্য  রাতে   , আটটা  , দশটা  ,   একটা  , দুইটা  ,তিনটা  , এইসব  চিন্তা  ভাবনা না করে  বাগানের  মধ্যে  , খালের পাড়ে   রাত  যাপন 

করতাম  💥


💥কারো   ছোট  বেলার  জীবনের  গল্প  বা 

কাহিনী  এরকম  আছে কিনা  আমার  জানা নেই  ।

তখন  তো  আমি  বুঝি নাই  । এখন  ঐ সব  স্মৃতি এবং 

সময়ের  কথামনে  হলে  । এখন  আমি  মনে করি  আমি  , তো  , ঐ   সময়  খালার বাড়িতে  কাজের   ছেলে  বা  কামলা  ছিলাম  । পৃথিবীতে  এরকম  খালা 

আছে,,কিনা  যে  , এটা আমার  জানা  নেই💥

 খালাকে আমি    বললাম  সকালে  মোকতবে  যাবো  আরবি পড়ার  জন্য  । 💥যেতে  দেয়নি , ছোট  বেলা 💥আরবি 💥

পড়ার  কি  গুরুত্ব  , সেটা  এখন,  হাড়ে , হাড়ে,  বুঝতে পারি  । যাইহোক   আমরা   যারা   নিজের  বলার মতো একটা গল্প ফাউন্ডেশনের একজন গর্বিত সদস্য। 

আমি  প্রিয়  ভাই  বোনদের  বলতে  ছাই   আমাদের 

ছেলে  ,মেয়ে  কে,  দ্বিনি  বা  ইসলামী  শিক্ষায়  শিক্ষিত  

করবো  ইনসাআল্লাহ।  মৃত্যুর  পরে  কবরের পাশে  দাঁড়িয়ে  আল্লাহ্ তায়ালা  কাছে  হাত তুলে  বলতে পারে।   রাব্বির  হামহুমা  কামা  রাব্বা  ইয়ানি  ছগিরাহ ।   ইয়া  রাববুল আলামীন  ছোট  বেলায়  আমাকে 

আমার  মা   বাবা  যেভাবে  লালন,  পালন  করেছে। 

তুমি  ও  তাদের  কে  সেভাবে  লালন পালন  করিও  ।

জীবনে অনেক দুঃখ কষ্টের মাঝে বড় হয়েছি💥


 👉পরবর্তীতে আল্লাহ  তায়ালা  আমার ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে সৌদি আরব আসার তৌফিক দেন।

আমি সৌদি আরব আসি  2001 সালে। সৌদি আরব এসে অনেক দুঃখ কষ্টের মাঝেও আমি একটি ব্যবসা দাঁড় করিয়েছি এই ব্যবসার ইনকাম দিয়ে আমি আলহামদুলিল্লাহ অনেক কিছু করতে পেরেছি।  আমার বাবা দুনিয়া  থেকে  বিদায়  নেন 2003 সালে ।  বাবার  জন্য কিছু  করতে  পারি  নাই  । তবে   বাবা  মা  উভয়ের  জন্য  দোয়া  করতেছি। ইনসাআল্লাহ  আমরা  সবাই  সবার  মা বাবার জন্য দোয়া  করবো   👈

নিজের  সাথে  নিজে ওয়াদা  করলাম  । মাকে  হজ্ব  করিয়ে এক  সাথে  বাড়ি  যাবো  তা ও হলো  না  ।

2007 সালে  মাকে  হজ্বে নিয়ে  আসলাম  । তখন  ও যেতে পারি  নাই  । গেলাম  2009  সালের  জানুয়ারি  মাসে  । বাকি  এই  11  বছরে 5 বার  গেলাম  । 2015 সালে  আবার  মা কে  এবং  ওয়াইফ  ও  2 ছেলে কে   3 মাসের  জন্য সৌদি আরব ওমরা করার জন্য নিয়ে  আসলাম  ।  3 মাসের মধ্যে  4 বার  4 সপ্তাহ  ওনাকে  দেরকে   মক্কা  এবং মদিনায়   রাখার   ব্যবস্থা  আল্লাহ্ তায়ালা  দান  করেছেন  ।  দ্বিতীয়  বারের মতো   2018  সালে  আবার 1 মেয়ে  এবং  ওয়াইফ  কে  নিয়ে  আসলাম  6 মাসের জন্য   ।   6 মাসে যতটুকু সম্ভব   3 বার  ওমরাহ পালন  করার  সুযোগ  হয়েছে  ওনাদের ।

আলহামদুলিল্লাহ  ।এখন  শেষ বারের  মতো  ওয়াইফ  এবং  2 ছেলে  1 মেয়ে  কে  পবিত্র  মক্কা এবং মদিনা  

দেখানোর  চেষ্টা  করতেছি    । বাকি  টা  আল্লাহর   হুকুম। 👌

 নিজে ওয়াদা করেছি আল্লাহ্ তায়ালার  সাথে  সোদী আরব  যতদিন  থাকবো  ।

প্রতি  বছর  নিম্নে  3  টা করে  আমার 

ওমরাহ  করতে হবে  যাক এই পর্যন্ত করে আসছি  । 2020  সাল  করুনা মহামারীর সময়  মনে   করছি  লাম  

এ বছর  আমার  আর  3  টা 

ওমরাহ   করা  হবে না  । কিন্তু  আল্লাহ্ তায়ালা  সেটা  ঠিক  মতো  ওমরাহ  পালন  সুযোগ করে দিয়েছেন  আমাকে  আলহামদুলিল্লাহ  ।🤲

 ❤2020 সালের জানুয়ারি মাসের  7 তারিখে  আমি  ছুটি  থেকে  আসলাম  ।  এটা  হলো   নিয়ত   আমার  ছুটি তে যাওয়ার  আগে  একটা  ওমরাহ  করবো  আসার পর  একটা  ওমরাহ করবো ।  ওমরাহ পালন করার  আগে  কাজে  হাত  দিবো  না  ।  তখন  2020 সালে  জানুয়ারি  মাসে  আমার   সহকর্মী  সহ আমি  মক্কা এবং মদিনা য়  10 দিন  অবস্থান  করি  তখন  আমার  একটা  ওমরাহ  পালন করা  হয়েছে। 

তখন  আবার  মার্চ  মাসে  যাওয়ার জন্য  যখন  মক্তবে  ফোন দিলাম তখন  ওনারা  জানালেন  মক্কা  যাওয়া  এখন  নিষেধ  । অপেক্ষা  করতে  , করতে   , সুযোগ  পেলাম  ❤

26 নভেম্বর  2020  হলো  2  টা তখন   

আমি  ভাবলাম এই  বছর  আমার  3 টা ওমরাহ  হবে  না   ।

ডিসেম্বর মাসের  20 তারিখ ফজরের  জামাত  শেষ হওয়ার পর  আমার  সাদিক   এক  সোদী  বলেন  চল  ওমরাহ  পালন করার উদ্দোশ্য  মক্কায়  যাই  । তখন আমি  বললাম  আমি যাবো না  । আমি  আসলাম  মাএ  24  দিন   হলো  ।

ওনি  বলেন   তাতে  সমস্যা  নেই। 

তখন  আমরা  8  জন  একসাথ হয়ে 

রওনা দিলাম   । সোদী  1 জন  মিসরি  1 জন  ইয়ামেনি 1 জন কাসমিরি  2 জন  পাকিস্তানি  2 জন 

বাংলাদেশের  আমি  1 জন  । 

ফেরত  আসার পর  আমরা  7 জন 

মিলে  সোদী  কে 2100 রিয়াল  দিলাম  ওনি  

নেয়নি  । পুরো খরচ  ওনি বহন 

করেছেন  । আরো  একবার  মক্কা এবং মদিনা  গুরে  আসলাম  35 রিয়াল দিয়ে  14 জন  মিসরি  আর

আমি  একজন  বাংলাদেশি  । ভাগে  

খরচ  আসলো  35 রিয়াল  ।  এর  

মাঝে  দুই  বার  বড়  হজ্ব  করলাম  ।❣

 


💙জীবনের এই বিশাল পথ চলায় হঠাৎ দেখা হয় নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশন এর সাথে। তখন ষষ্ঠ ব্যাচ চলছিল, যুক্ত হয়েছি ভালোবাসা প্লাটফর্মে তখন থেকে প্ল্যাটফর্মের সাথে লেগে আছি। প্রিয় স্যারের শিক্ষা নিয়ে এগিয়ে যাচ্ছি আল্লাহতালা আমাকে অনেক টাকা পয়সার ইনকাম করার সুযোগ দিয়েছেন। তবে স্যারের শিক্ষা না থাকার কারণে আমি জীবনে মানুষদেরকে বিশ্বাস করে জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে লস দিয়ে এসেছি।

 এখন স্যারের থেকে শিক্ষা নিয়ে নিজের জীবনকে সুন্দরভাবে পরিচালনা করার জন্য এগিয়ে যাচ্ছি। স্যারের শিক্ষা গুলো যদি আরো আগে পেতাম তাহলে জীবনে আরো বেশি উন্নতি করতে পারতাম। তারপরও আফসোস নেই আমি সৌদি আরবে সফলতার সাথে ব্যবসা করে যাচ্ছি। এবং স্যারের কথা অনুযায়ী দেশে যাওয়ার আগে দেশেও একটি বিজনেস শুরু করার পরিকল্পনা শুরু করেছি  💚


 👉ইনশাআল্লাহ আশা রাখি স্যারের শিক্ষা বুকে ধারণ করে সামনের দিকে এগিয়ে যাব। 

সকলে আমার জন্য দোয়া করবেন👈


🤲কষ্ট করে ধৈর্য সহকারে আমার গল্পটি পড়ার জন্য সকলের প্রতি অসংখ্য অগনিত ধন্যবাদ।

 ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন 🤲


📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৭০১

Date:- ১৯/১২/২০২১ ইং

💦মোঃ  হুমায়ূন  মন্নান 

💥6/9285

💥জেলা লক্ষীপুর রামগঞ্জ 

💥সোদী আরব আবহা  ।..

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।