👉👉আমি খাদিজা আক্তার।  বাবার এক মাএ মেয়ে।  গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী,  ছোট বেলায় ছিলাম চট্টগ্রামে,  এখন আছি শ্বশুর বাড়ি  লক্ষ্মীপুর এ। 

👉👉 বাবা মায়ের একমাএ সন্তান হওয়ায় স্বাভাবিক ভাবে আমাকে ঘরে অনেক স্বপ্ন ছিল। আমি পড়াশোনায় ছিলাম খুব ভালো।  জীবনে কখনো ফেল করিনি। এস.এস.সি দিয়েছিলাম  পলোগ্রাউন্ড রেলওয়ে পাবলিক স্কুল থেকে।  যেহেতু পড়ালেখায় ভালো ছিলাম সবার আশা ছিল গোল্ডেন পাব সে জায়গায় এ পেয়ে পুরাই বিধ্বস্ত আমি। হাজার বাধায় আবারও এইচএসসিতে ভর্তি হলাম এবং ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে উঠার পর পারিবারিকভাবে বিয়ের পিঁড়িতে বসি। যাইহোক এইচএসসি কমপ্লিট করি এবং কোন কোচিং ছাড়াই সায়েন্স থেকে কমপ্লিট করি এইচএসসি। এইচএসসি পরীক্ষার এক মাস পর আমার বড় মেয়ের জন্ম হয়। নানান শারীরিক সমস্যা ও মানসিক সমস্যার মাঝেও চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এ ভর্তি পরীক্ষা দিই। কিন্তু ওখানে আসিনি যেহেতু তেমন পিপারেশন ছিল না, ওই বছর  অনার্সের ফরম নেওয়া হয় নি, তারপর ডিগ্রিতে ভর্তি হই।পরের অনার্স এ আসি। বাট কিছুটা পারিবারিক কারণে বাচ্চার রাখার অনিশ্চয়তায় আমি আর লেখাপড়া কন্টিনিউ করিনি।

👉👉👉বাবা যেহেতু সরকারী চাকুরী জীবী ছিলেন তাই বাবা বলেন সরকারি চাকুরীতে এপ্লাই করতে কিন্তু আমি বাচ্চা ছেড়ে বাহিরে কাজ করায় আগ্রহী না। দ্বিতীয় মেয়ে হওয়ার পর রিয়েলাইজ করি ঘরে বসেই কিছু করা দরকার।  তখন সেলাই শিখি। এবং প্রচুর ইউটিউব দেখতাম  এভাবেই দেখা পাই প্রিয় স্যারের। 

👉👉👉মনের সুপ্ত ইচ্ছে পারিপার্শ্বিক কারণেই চাপা থাকে।  পেন্ডামিক সিচুয়েশনে উদ্যোগ গুলো বাস্তব রুপ পায় না। হাসবেন্ড  প্রবাসী ছিল এবং এ বছর দেশে আসায় সংসারের হাল ধরায়  শুরু করি ছোট উদ্যোগ Fashion & Style  নামে। 

👉👉👉শহর থেকে গ্রামে এসে একটা নতুন পরিবেশে টিকে থাকার লড়াই করতে থাকি। প্রথমে  ১২ টা থ্রিপিস আনি  এবং আনার সাথে সাথেই সেলাই সহ দুটি থ্রিপিস সেল হয়। পরে একদিনে ৯ টা সেল হয়। অনেক খুশি হয়ে আবার আনি কিন্তু লকডাউন এর দ্বিতীয় থাবায় আর পারলাম না। কোথায় বাহির হতেও পারিনা আবার উপজেলা শহরে কুরিয়ার সার্ভিস এর কারণে অনলাইন অর্ডার গুলো নিতে পারিনি।করোনাকালীন সময়ে  একটা  ফেক কোম্পানিতে  জড়িয়ে নিজের মনোবল হারাই। 

👉👉👉 এরপর নিজের বলার মত একটা গল্প ফাউন্ডেশনের দুইটা বই, সেশান চর্চায় ও স্যারের ভিডিও দেখে আবার শুরু করি। কারণ স্যার বলেছেন যে জিতবে সে বারবার হেরে যাওয়ার পর উঠে দাঁড়িয়ে বলবে আমিতো এখনও শুরু করিনি। এবং স্যারের একটা ভিডিও দেখেছি আমাদের মায়েরা যে কাজ করে তার মূল্যের হিসেব রাখলে  বুঝা যেত কতটুকু আর্থিক অবদান রাখে। এই ভিডিও টা দেখে আমি উপলব্ধি করি আমরা বিশেষ করে মায়েরা আসলে আমাদের  কাজের মূল্যায়ন করি না। 

👉👉👉আজ আমি শিখেছি নিজেকে ভালো বাসতে,  শিখেছি  নিজের কাজকে ভালবাসতে।

👉👉👉👉আমি কাজ করছি  হাফ সিল্ক জামদানী শাড়ি ও থ্রিপিস, জামদানী টিস্যু শাড়ি, গ্যাস কটন শাড়ি। 

👉👉👉পাওয়া যাবে হেলন ডাল, শুকনো শিমের বীচি, ফুলঝুরি পিঠা,  বিভিন্ন ধরনের আচার,  চাটনী, মোরব্বা।  

👉👉👉বিভিন্ন ধরনের কাস্টমাইস ড্রেস ও করে থাকি  

🌹🌹🌹নিজের বলার মতো একটা গল্প  তৈরী করতে লেগে আছি আলহামদুলিল্লাহ 🌹🌹🌹

📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৬৭০

Date:- ১০/১১/২০২১ ইং

খাদিজা আকতার 

ব্যাচ ১২

রেজিষ্ট্রেশন নং৪৮৯০৪ 

কমিউনিটি ভলান্টিয়ার 

নোয়াখালীর মেয়ে 

আছি লক্ষ্মীপুর। 🎀