আমার নাম "আশা"
আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় গ্রুপের প্রিয় ভালো মানুষগুলি আশাকরি ভালো আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
হাজার ও ব্যস্ততার মাঝে একটু সময় পেলেই দৌড়ে গিয়ে মোবাইলটা হাতে নিয়ে ডাটা অন করে দেখতে বসি আমার প্রিয় ভাই -বোনেরা গ্রুপে কে কি লেখে।বিশেষ করে আমার প্রিয় স্যার "ইকবাল বাহার" স্যারের গুরুত্ব পূর্ণ কথা গুলি না পড়লে মনটা কেমন যানি ছটপট করে।
তাই স্যারের জন্য হাজার সালাম,আর দোয়া রইলো।
মন চাই প্রতিদিন গ্রুপে কিছুনা কিছু একটা লিখি কিন্তু সময়যে বড়ই কঠিন। তারপরেও ছুটে আসি আপনাদের মাজে। সবার জন্য ২/১ লাইন গল্প লিখি। আজ ও তেমন কিছু লিখলাম।
♦♦একটি রুমের ভেতরে চারটি মোমবাতি জ্বলছিল। মোমবাতিগুলো একে অপরের সাথে তাদের নিজস্ব ভাষায় কথা বলা শুরু করল। ♠প্রথম মোমবাতিটি বলল,আমি শান্তি,কেউ আমাকে জ্বালিয়ে রাখতে পারবে না,আমি এখন নিভে যাব। তারপর সেটি নিভে গেলো।
♠দ্বিতীয় মোমবাতিটি বলল,আমি বিশ্বাস। শান্তি যেহেতু নেই, তাই আমার জ্বলে থাকার কোন প্রয়োজন দেখছি না। এই বলে দ্বিতীয় মোমবাতিটি নিভে গেলো।
♠ তৃতীয় মোমবাতিটি এবার মুখ খুলল,আমি ভালোবাসা।শান্তি এবং বিশ্বাস কেউ যেহুতো নেই তাই আমারো বেশিক্ষণ জ্বলার মত শক্তি নেই।মানুষ আমাকে গুরুত্ব না দিয়ে একপাশে সরিয়ে রাখে শুধু তাই নয় তারা তাদের প্রিয় মানুষগুলোকে ভুলে যায়।কথা শেষ করে তৃতীয় মোমবাতিটিও নিভে গেলো। কিছুক্ষণ পর রুমের মধ্যে একটা বাচ্চা প্রবেশ করল, তিনটি নিভে যাওয়া মোমবাতির পাশে মিটমিট জ্বলতে থাকা চতুর্থ মোমবাতিটি দেখে বাচ্চাটি প্রশ্ন ছুড়ে দিল,তোমরা জ্বলছনা কেন? তোমাদের পুরোপুরি শেষ না হওয়া পর্যন্ত জ্বলা উচিৎ ছিল। এরপর বাচ্চাটি কাঁদতে শুরু করল।
♥এবার চার নাম্বার মোমবাতিটি মুখ খুলল।ভয় পেয়োনা, আমি যতক্ষণ আছি, তুমি চাইলেই আমাকে দিয়ে বাকি মোমবাতিগুলো আবারো জ্বলাতে পারো।আমার নাম "আশা"।এরপর বাচ্চাটি আশা নামক মোমবাতির সাহায্যে একে একে বাকি সব মোমবাতিগুলো আবারো জ্বালাল। সমস্ত রুমটা উজ্জ্বল আলোতে আলোকিত হয়ে উঠল।
গল্পটি একটু রুপক। হাজারো দুঃখ, হতাশা এবং সমস্যায় জর্জরিত হয়েও আশা নামক আলোটিকে কখনও নিভতে দেওয়া উচিৎ নয়। কারণ আশা নাথাকলে আমাদের জীবন থেকে শান্তি,বিশ্বাস এবং ভালোবাসা অন্ধকারে হারিয়ে যাবে।
ওকে,,সবাই ভালো থাকবেন,। প্রতিদিন অন্তত ১/২ টা ভালো কাজ করবেন।সবার জন্য দোয়া কামনাই শেষ করছি।
আল্লাহাফেজ।।
📌"স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৫০
Date:- ০৪/১১/২০১৯ ইং
বেগম আছমা।
৭ম ব্যাচ।
রেজি:১৬২৬।
জেলা :কক্সবাজার।
বর্তমান : সাভার সেনানিবাস।