See More Post

আমাকে যে ম্যানেজার এই কাজে নিযুক্ত করেছে তিনি আমার এই জবের ১৪ মাসের সময় কোম্পানি থেকে লিব নেয় এবং আমার আব্বু ও কোম্পানি

👮


#প্রথমেই_সালাম_জানাই_ইকবাল_বাহার_জাহিদ_স্যার_কে যিনি ভাল মানুষ ও মানব কল্যাণের জন্য  এত সুন্দর একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দিয়েছেন। 

এবং গ্রুপের সকল প্রিয় ভাই ও বোন দের যাদের কারণে আজ আমি ভালো মানুষের পরিবারের একজন সদস্য হতে পেরেছি। সবাই কে আমার হাজার সালাম। 


            "নিজের বলার মত একটা গল্প"


#এটা আমার বাস্তব জীবনের গল্প। 

আমার বিদেশ লাইফের গল্প আজকে আমি শুনাবো। ইন্টারমিডিয়েট  কমপ্লিট করার পর ২ বছর কোন পাকে বেকার কাটিয়ে দিলাম টেরই পাই নি। একে বারে বেকার ছিলাম তাও না পাশাপাশি কম্পিউটার (ওয়ার্ড ,এক্সেল) ইলেক্ট্রিক,ড্রাইভীং এর কাজ শিখেছি তারপর দেশে অনেক খুজে নিজের পছন্দ মত চাকরি পাওয়া যায় নি । পাঁছ মাস চাকরির পিছনে দোড়ালাম চাকরিও করলাম কিন্তু যে বেতন পেয়েছি তা দিয়ে ফ্যামিলির কোন প্রকার হেল্প করা যায়নি তাও আমি কিছু বাছিয়ে ছোট ভাই বোনদের মুখে হাঁসি পোটানোর চেষ্টা করেছি। যেহেতু ফ্যামিলির বড় ছেলে। তারপর বিদেশ পাড়ি।২০১৬ সালের এপ্রিল মাসের ১৫ তারিখ বিদেশ নামক কাতার শহরে আসি বাবার কোম্পানিতে। বাবার কাছেই থাকা যদিও বলা হয়েছে অফিসিয়াল কাজ কিন্তু এসেই দেড় মাস হেল্পার হিসেবে বাহিরে কাজ করেছি। দেড় মাস পর আমাকে কোম্পানির সিকিউরিটি  কাজে নিযুক্ত করা হয় প্রথম প্রথম ভালো লাগলেও পরবর্তীতে অনেক ঘৃণা জমে যায় কাজের প্রতি কারণ ১৪-১৬ ঘন্টা ডিউটি তার ভিতর ৩৬৫ দিনই ডিউটি করতে হয় ঈদে ও আমার ছুটি ছিল না।

আমাকে যে ম্যানেজার এই কাজে নিযুক্ত করেছে তিনি আমার এই জবের ১৪ মাসের সময় কোম্পানি থেকে লিব নেয় এবং আমার আব্বু ও কোম্পানি থেকে লিব নেয়। তার পর যে ম্যানেজার আসে তিনি ও ইন্ডিয়া হায়দ্রাবাদ এর এক হেড সুপারভাইজার মিলে আমাকে ১৬ মাসের সময় সিকিউরিটি থেকে  চেঞ্জ করার সিদ্ধান্ত নেয় আমি ও এগ্রি প্রকাশ করি কারন আমার কোন দোষ ছাড়া ও তারা আমাকে সাধারন বিষয় নিয়ে  হ্যারাসমেন্ট শুরু করছে তাই আমি সিকিউরিটি জব করতে এগ্রি না। তারপর আমাকে সাইটে ট্রান্সপার করলো আমি সাইটের কাজ সম্পর্কে কোন আইড়িয়াই ছিল না। আমার ট্রেড ass:Electrician থাকায় আমাকে ঐ কাজ করতে দিল প্রথম  দিন কাজে যাওয়ার পরই আমার হাতে হাতুড়া আর চেনা তুলে দিয়ে পাথর প্লোর কাটতে দিল আমিও হাতের ১২ টা বাজিয়ে জিদ্দের উপর কাটা  শুরু করলাম কিন্তু ২-৩ ঘন্টায় ও এক হাত কাটতে পারি না কারন এ দেশে এগুলা হিলতি দিয়ে বা গ্রেন্ডার দিয়ে কাটা হয় যেহেতু পাথর ডালাই। কিন্তু আমার ঐ বিষয়ে কোন আইডিয়া নেই। তারা ও আমার পরিক্ষা নিতেছে আগে আমি তাদের ঐভাবে গুরুত্ব দেয় নাই এ জন্য। এভাবে ৪-৫ মাস সাইটে কাজ করার সময় একদিন আমার হাত কেটে যায় এবং আমি মেডিকেল ৭ দিন বিশ্রামে থাকি বিশ্রামের ৫ দিনের সময় আমাকে অফিসে ডেকে অফিস জব অফার করে আমি সোজা বলে দি আমি করবো না কারণ ছিল রিপ্লেস ম্যান।আমি বলি যার চাকরি সে আসলে পূনরায় আমাকে সাইটে যেতে হবে তার চেয়ে আমি যেভাবে আছি ওভাবেই থাকি। তারা আমাকে দীর্ঘ মেয়াদি আসসাস দিয়ে অফিসে রেখে দেয় এর মাজে আমি ড্রাইভীং স্কুলে ভর্তি হই কারন আমি অফিসে কাজ করে আমার ফিউচার দেখতেছি না  এভাবে আমি অফিসে ৭ মাস কাজ করার পর তারা আমাকে পাশাপাশি আমাদের আরেকটা অফিস কেও হেল্প  করার জন্য  বারতি চাপ দিতেছে  কিন্তু আমার বেতন হেল্পারের দিয়েই এ কাজ গুলো চালিয়ে যাচ্ছে। আমি করবো না বলাতে আমাকে টার্মিনেট করবে বলা হচ্ছে আমি তাতেও রাজি ☹

রাগে আমার মাথা খারাপ হয়ে গেছে। দুদিন পর আমাকে স্টোর অফিসে ass: store Incharge হিসেবে ট্রান্সফার করা হয়। আমি ওখানে ৫ মাস কাজ করার পর আবার আমাদের ম্যানেজার চেঞ্জ হয় এবং সিনিয়র স্টোর ইনচার্জ কে টার্মিনেট করবে বলে ওর যায়গায় আরেকজন নিয়ে আসা হয় কিন্তু লাস্ট মূহুর্তে ওকে টার্মিনেট না করে আমার জায়গায় নিউ মানুষ কে বসিয়ে দেওয়া হয় এবং পূনরায় সাইটে কাজ করতে পাঠানো হয়। কিছুই করার নেই একতো আমি বাংলাদেশি দ্বিতীয় আমি গরীব ঘরের সন্তান  কারন আমার মাথার উপর হাত দেওয়ার কেউ নেই তবু আমি থেমে নেই আমি ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য শত ভাবে চেষ্টা করতেছি ডিউটি শেষ করেই দোড় দিয়েছি স্কুলে স্কুল শেষ করে এসে আবার খানা বানানো খাওয়া গুমতো আসেই না টেনশনে লাইফে এত কিছু ঘটে গেল এভেবে কোন ভাবেই আমি কোন কূল পাই না। একদিকে ফ্যামিলি চালানো নিজে চলা ড্রাইভিং স্কুলে তিন দপা পয়সা ব্যয় করা দিন দিন ঋনের পরিমান পাহাড় হয়ে যাচ্ছে  আমার আপন মানুষ সবাই বলতেছে তুই লাইসেন্স নিতে পারবিনা কেউতো কোন প্রকার হেল্প করছেই না উল্টো আমার ভরসা টাও ভেংগে দিচ্ছে তারা সব সময় বলতো এত সোজা না। 

কাতারের লাইসেন্স পাওয়া এখন হরিণের কলিজার মত। কেউ আমাকে সাপোর্ট করে নাই এবং কি আমার বাবা ও না।  কিন্তু আমি হাল ছাড়ি নাই অবশেষে আমি দুই বছর স্কুলে যুদ্ধ করার পর লাইসেন্স পাইছি যদি আমার কাজটা অফিসিয়াল পোষ্ট না তবুও আমি এই কাজে স্বাচ্ছন্দ বোদ করি। কারন এখন আর আমি কোন কাজকেই ছোট করে দেখি না। এখন আমার বেতন ও আগের তুলনায় ডাবল সারাদিনে গড়ে ১-২ ঘন্টা ড্রাইভ করি পাশাপাশি এখন প্লামবিং আইডিয়া নিতে বলেছে in charge বানানোর জন্য। আজ আমি আমার কাজ কে ভালোবাসি আজ আমাকে কেউ আর লাথি মারার টাইম নাই। আমি আমার মতই স্বপ্ন দেখেছি আমি আমার মতই বাস্তব করেছি। 

দোয়া করবেন সবাই আমার জন্য। 


📢অবশেষে ইকবাল বাহার জাহিদ স্যারের উক্তিটাই     বলে যাই✅🔥


♻ স্বপ্ন দেখুন,সাহস করুন✅

🔥 শুরু করুন এবং⤵

✅ লেগে থাকুন সাফল্য আসবেই।


🔥😱এটাই নিজের বলার মত 

           একটা বাস্তব জীবনের গল্প।😱🔥

স্ট্যাটাস অফ দ্যা ডে -১৮১

০১-০৪-২০২

   নামঃ  জাহেদ হোসেন (শোভন)

    ↪ রেজিঃ  ৬৫০৫

    🚻  ব্যাছঃ  অষ্টম 

  🇧🇩  জেলাঃ  ফেনী-দাগনভূঞা

🇧🇭 বর্তমানঃ  কাতার প্রবাসী 

🩸ব্লাডগ্রুপঃ  ও পজেটিভ 

💌ই-মেইলঃ abidhossain936@gmail.com

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।