See More Post

আমরা_ক্রেতা_আমরা_বিক্রেতা প্রিয় স্যার এর স্লোগান নিয়ে আজ চলে আসছি হাটে।

#গল্পে_গল্পে_সেল_পোস্ট 


"আসসালামুয়ালাইকুম ওয়ারমাতুল্লাহ"

আশা নয় বিশ্বাস সবাই অনেক ভালো আছেন।আল্লাহ আমাদের ভালো রেখেছেন, সুস্থ রেখেছেন,নতুন একটা সকাল দেখার সুযোগ দিয়েছেন আলহামদুলিল্লাহ। 

ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই সবার প্রিয় মেন্টর,প্রিয় শিক্ষক,স্বপ্ন গড়ার কারিগর #ইকবাল_বাহার_জাহিদ স্যারকে। যার এতো সুন্দর আইডিয়ার মাধ্যমে আমরা পেয়েছি #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প ফাউন্ডেশন। 

দূরে থেকেও সবাই এখন অনেক কাছে আসতে পেরেছি।সবার মধ্যে  তৈরি হচ্ছে নেটওয়ার্ক ও সুসম্পর্ক।

দোয়া ও ভালোবাসা এই গ্রুপের সকল আজীবন সদস্য দের প্রতি।

 আমরা_ক্রেতা_আমরা_বিক্রেতা

প্রিয় স্যার এর স্লোগান নিয়ে আজ চলে আসছি হাটে।

প্রিয় স্যার এর প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ যিনি এই করোনা মহামারিতে আমাদের কথা চিন্তা করে সাপ্তাহিক হাটের আয়োজন করেছেন।যেখানে ক্রেতা বিক্রতেরা নিশ্চিন্তে কেনা বেচা করতে পারে।

পণ্য বা সেবা যেটাই আমরা বিক্রি করি না কেনো প্রতিটি জিনিসের পিঁছনে সফলতার এক গুপ্ত সুভাস লুকিয়ে থাকে সেই সুভাসের আসায় প্রতি দিন বিক্রেতারা সেল পোস্ট দিয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় ক্রেতারাও অপেক্ষায় থাকে  কখন একটা পছন্দের পণ্যের দেখা পাবে।

আর সেই পণ্য নিয়ে ভাবতে ভাবতে যখন একটা সময় সে তার   কাঙ্ক্ষিত পণ্য  পেয়ে যায় অনলাইনে তার পর শুরু হয় জাস্টিফিকেশান ও ভেরিফিকেশান করা।দুইটি স্টেপই যখন কপ্লিট হয়ে যায় তখন সে নিঃসন্দেহে অর্ডার করতে পারে।আর অর্ডার করার যে মাধ্যমটা যেমনঃ ই-কমার্স বা এপ কমার্স।তার যে ধারাবাহিক মধ্যম টা তা অবশ্যই বিশ্বাস যোগ্য হওয়া দরকার। আর সেই বিশ্বাস যোগ্য মাধ্যমের জন্য একটা মাধ্যম #নিজের_বলার_মত_একটা_গল্প ফাউন্ডেশন দিয়েছেন আমাদের প্রিয় মেন্টর #ইকবাল বাহার জাহিদ স্যার। যার অনুপ্রেরণায় সব সময় আমরা ভালো কিছু করার স্বপ্ন দেখি এবং স্বপ্ন পূরণ এর দিকে এগিয়ে যায়।

বসে বসে অর্ডার এর কাজ করতেছি হঠাৎ খবর আসল আমার এক ভাই এর বাচ্চা কে নিয়ে হসপিটাল নিছে।বাচ্চার অবস্থা ভালো না।আমাদের কল করছে তাড়াতাড়ি যাওয়ার জন্য।কিছু জিজ্ঞেস না করে দ্রুত চলে গেলাম।হসপিটাল গিয়ে দেখি বাচ্চার অবস্থা ভালো না।নিউমোনিয়া হয়েছে।সবাই কান্না করতেছে।বাচ্চার বয়স মাত্র ৪/৫ মাস।কত আদরের সন্তান।প্রথম বাচ্চা তাদের পরিবারে।সবাই তো অস্থির। ডাক্তার জানালো  যে বাচ্চার অনেক জ্বর। ডায়ফার পরানোর কারনে ডায়ফারে ঢাকা অংশে র‍্যাশ হয়ে গেছে,পুজ বার হচ্ছে।

আমি সাথে সাথে ভাবির কাছে গেলাম।

আমিঃ ভাবি কি হইছে বাবুর?

ভাবিঃ আপু অনেক দিন থেকে রাতে ঘুমাতে পারেনা ছেলেটা শুধু কান্না করে। 

আমিঃ কি বলেন।আপনি কি ওরে রাতে ডায়পার পরান?

ভাবিঃ জ্বি আপু।আমি দিনেও পরিয়ে রাখি।নিজের জব, এবং সংসারের কাজের জন্য বাচ্চার ময়লা গুলো পরিষ্কার করার সময় পায় না।জামেলা লাগে।তাই সব সময় ওকে আমি ডায়পার পরিয়ে রাখতাম।ময়লা হলে পেলে দিতাম।

আমিঃ ভাবি আপনি তো ভুল করেছেন।ডায়পার খারাপ না। কিন্তু ডায়পার ব্যবহার এর অনেক নিয়ম আছে আপনি কি জানেন?.

ভাবিঃ না আপু। আমি তো এতো নিয়ম জানি।তাই আজ আমার ছেলের এই অবস্থা

আমিঃ আপনি বাবুর জন্য কোনো কাঁথা বানান নাই?

ভাবিঃ না আপু। আমি কাজে ব্যস্ত ছিলাম।তাছাড়া এখন তো ডায়পার আছে তাই কাঁথার চিন্তা করিনি।

আসলে আজ কাল আমাদের কাজে ডায়পারের জনপ্রিয়তা এবং চাহিদা অনেক।এখন মা রা ডায়পার পেলে হাঁপ ছেড়ে বাঁচে।মনে করে অনেক সহজ।সঠিক ব্যবহার না  জানার কারনে নিজের সন্তানের কত বড় ক্ষতি করছে নিজেও জানে না।

অতিরিক্ত সময় ধরে ডায়পার ব্যবহার এর ফলে কি কি ক্ষতি হয়ঃ

শিশুদের ঘন ঘন জ্বর ও ঠান্ডা লাগে।

র‍্যাশ এবং এলার্জি হয়। 

ফুসকুড়ি বা ফোসকা পড়ে।

ফোলা অংশ থেকে  পুৃঁজ বের হয়।

বাচ্চা রাতে ঘুমায় না।

শ্লেষ্মাজনিত অসুখের স্বীকার হয়।

ইত্যাদি অনেক ক্ষতি হয়।আমরা শিশুদের যত্নের বিষয়ে সচেতন।কিন্তু অনেকে ডায়পার এর সঠিক ব্যবহার জানে না।মনে করে ডায়পার পরিয়ে রাখলে আর কোনো সমস্যা হবে না।তাই বেশি সহজ করতে গিয়ে নিজেরদের আদরের সন্তান দের কষ্ট দেই।

অনেক বাবা মা আছে ৩ বছর পর্যন্ত বাচ্চাদের ডায়পার পরিয়ে রাখেন।রাতে নিশ্চিন্তে ঘুমানোর জন্য এই কাজ টা করেন।কিন্তু আগে কার মা  রা বাচ্চা দের শুধু কাঁথা দিলে পালতেন।তখন বাচ্চাদের এতো সমস্যা ছিল না।

তাই ডায়পার ব্যবহার এর সঠিক নিয়ম জানতে হবে।আপনার বাচ্চা পৃথিবীতে আসার আগে আপনাকে বাচ্চার সুস্থতার কথা ভাবতে হবে।তাই আগে থেকে বাচ্চার জন্য বেবি কাঁথা বানিয়ে রাখতে পারেন।ডায়পার একটা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য।কোথাও জরুরি কাজে বা ডাক্তারের কাছে গেলে ডায়পার পরিয়ে নেওয়া যায়। কারন রাস্তায় বাচ্চারা ময়লা করলে পরিষ্কার করতে জামেলা।এক বার ময়লা করলে চেঞ্জ করতে হয় ডায়পার।কিন্তু অনেকে পুরা রাতের জন্য পরিয়ে রাখে।ফলে বাচ্চাদের ঠান্ডা লাগে।এবং জীবাণু থেকে অনেক রোগের সৃষ্টি হয়।যা খুবই কষ্টদায়ক।

ভাবিঃ আপু এখন কাঁথা কই পাব।কে বানিয়ে দিবে। ভালো পড়বে কিনা।

আমিঃ বল্লাম ভাবি আপনি চিন্তা করবেন না।আমি বেবি দের নকশি কাঁথা নিয়ে কাজ করি।নিজে কাঁথা বানাই।অনলাইন অফ লাইনে বিক্রি করি।আমার কাঁথা গুলো নরম সুতি কাপড় দিয়ে বানানো।সুতি কাপড় বাচ্চাদের জন্য অপরিহার্য। সুতি কাপড় এর কাঁথা শোয়ালে বাচ্চা আরাম পাবে এবং ভালো ঘুমাবে।এখন থেকে ডায়পার পরা কমিয়ে কাঁথা ব্যবহার করুন।বাচ্চাকে কাঁথায় মোড়িয়ে ঘুম পাড়ালে ভালো ঘুম হয়।

ভাবিঃঅনেক ধন্যবাদ আপু।তাহলে আমাকে ১০টা কাঁথা বানিয়ে দেন।

আমিঃ আচ্ছা ভাবি।ধন্যবাদ। বাচ্চার যত্ন নিয়ে সচেতন হন।

সবার উদ্দেশ্যে বলছি এখনও যাদের আদরের সোনামনী পৃথিবীতে আসে নাই তারা আগেই সচেতন হয়ে যান।কারন শুধু ডায়পার এর উপর নির্ভর করে বাচ্চার সুস্থতা কামনা করতে পারবেন না।তাই আগেই প্রস্তুতি নিয়ে কয়েকটা কঁথা ঘরে রাখা উচিত। এবং যাদের সদ্য নবজাতক সন্তান হয়েছে।আপনারাও ডায়পার ব্যবহার এর সঠিক নিয়ম জেনে নিন।যত কম ব্যবহার করতে পারবেন তত সন্তান এর জন্য ভালো হবে।

আমরা সবাই চাই আমাদের সন্তান ভালো থাকুক সুস্থ থাকুক।কিন্তু সামান্য অসচেতনতার জন্য বাচ্চার ক্ষতি করি।মনে রাখবেন,

 #ছোট একটা ভুল,অনেক বড় দূর্ঘটনার কারণ

সবাইকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাদের মূল্যবান সময় দিয়ে পোস্ট টি  পড়ার জন্য।ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। 


স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে--৬১০

ধন্যবাদান্তে

আমি তাহামিনা আক্তার 

কমিউনিটি ভলেন্টিয়ার

ব্যাচঃ১৪ 

রেজিষ্ট্রেশনঃ৬৬৩৯৩ 

জেলাঃ লক্ষ্মীপুর

বর্তমান অবস্থানঃ নোয়াখালী 

কাজ করছিঃ বেবি কাঁথা নিয়ে 

পেইজঃhttps://www.facebook.com/অনলাইন-বেবি-কাঁথা-হাউজ-110173391120586/

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।