See More Post

হঠাৎ আমার এক বড় ভাই এইসব শোনে এবং আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা জানতে চায়,

HSC এর পরে থেকেই  জব খুঁজি।অনেক দিন পরে ভালো একটা জব ও পাই।কিছু দিন জব করার পরে মাথায় একটা ভূত চাপলো দেশের বাহিরে গিয়ে পড়ারশোনা করারা জন্য।বাধ্য হয়ে জবটা ছাড়তে হল। 
বাহিরে যাওয়ার জন্য কোচিং শুরু করলাম। কিন্তু কপাল খারাপ যার জন্য আর বাহিরে যাওয়া হল না।
কিন্তুু হলটা কি আমি বেকার হয়ে গেলাম।এত বড় হয়েছি,বাসার থেকেও টাকা চাইতে লজ্জা লাগতো।
কি করার আর আবারও জব খুঁজতে শুরু করলাম কিন্তুু কোথাও জব নেই  প্রায় ২মাস ধরে বাসায় বসে আছি জব এর খবর নাই।এর মধ্যে আমি আমার এক আত্মিয়র বাসায় যাই। 

☑️ তার বাসায় ২ দিন থাকার পর সময় হঠাৎ দেখি রাস্তায় একজন পেপার বিক্রি করতেছো তার মধ্যে একটা পেপারের দিকে আমার নজর চাই সেখানে দেখি গ্রামীণফোনের জব সার্কুলার এবং একটা ফোন নাম্বার দেওয়া। আমি জব সার্কুলার টা দেখে ভাবলাম যেহেতু পেপারে দেওয়া সৎ হবে না তাই সার্কুলারে দেওয়া নাম্বারে ফোন করলাম এবং তাদের সাথে কথা বললাম। তারা আমাকে বলল আপনাকে জব টা দেওয়া যাবে আপনার সিভি আমাদের কাছে পাঠান, আমার সিভি পাঠালাম এবং তারা আমাকে বলল টপ ফরম পূরণ করতে হবে যার জন্য ৩০০ টাকা লাগবে, আর বলল আমার চাকরিটা কনফার্ম হবেই, তো এইটা শুনে আমি ৩০০ টাকা বিকাশ করে দেই। তারা ইমেইলে আমাকে একটা ফ্রম পাঠায়।

☑️ আর বলে এটা আমাকে পূরণ করতে, আমি পূরণ করে ইমেল করি,তারা বলে ২দিন পরে জানাবে, তারপর ঠিক দু'দিন পরে আবার আমাকে ফোন দেয়, আর আমাকে বলে আমার জব লোকেশন হবে মিরপুরে, জবে ঢোকার  জন্য ১০০০ টাকা লাগবে তারা আমাকে একটি জব কনফার্ম লেটার পাঠায়,  তো আমিও ভাবলাম আমার জবটা হয়ে গেছে  যেহেতু পেপার থেকে নিউজ পাওয়া তাই আর অবিশ্বাস  হয়িন। তাই তাদেরকে ১০০০ টাকা বিকাশ করি এবং তারা বলল দুইদিন পর আমাকে ট্রেনিং  পাঠাবে, এবং আমাকে ট্রেনিং করাবে তিন দিনের এইটা বলে রেখে দেয়। ঠিক একদিন পর আবার ফোন করে তারা বলে আপনাকে 3 দিন ট্রেনিং করানো হবে এর জন্য তিন দিন ওনাদের ট্রেনিং সেন্টারে থাকতে হবে ট্রেনিং সেন্টারে থাকার কোন খরচ নেই কিন্তু খাওয়ার জন্য তাদেরকে আরও ১৫০০  টাকা পাঠাতে হবে, মমে মনে ভাবলাম ভাবলাম যদি পনেরশো টাকা না দিতে পারি  তাই তাহলে আমার জয়েন কনফার্ম করবে না তাই আবারও ১৫০০ টাকা বিকাশ করলাম।

☑️ ঐ দিন ই  হঠাৎ রাত ১১টায় আমাকে কল দিয়ে বলে আপনার ড্রেস বানাতে হবে এবং এর জন্য ৩০০০ টাকা লাগবে এ কথা শোনার পর নিজেকে খুব অসহায় মনে হইতেছিল হাতে যা টাকা ছিল টাকা দিয়েছি এবং বন্ধুদের কাছ থেকেও কিছু ধার করে দিয়েছি, হাতে একদম টাকা নেই আর ওই দিক থেকে তারা বলছিল সম্পূর্ণ টাকা জমা না দিলে এবং ড্রেসের জন্য টাকা জমা না দিলে ট্রেনিং করতে দেওয়া হবে না, এবং সেই সাথে চাকরিতে জয়েন করা ও যাবে না, তারা আমার কাছ থেকে  ঐ দিন ই টাকা চাইলো  বললো যেমন করেই হোক টাকা পাঠাতে।আসলে অবস্থাটা এমন দাড়া করায় তাদের কথামতো এটা হারাতে হবে এবং প্রথম থেকে যে টাকাগুলো দিয়ে আসছি সেই টাকাগুলো লস হবে, এইরকম ভয়ের কারণে পরবর্তীতে যখন টাকা চাই তো তখনই টাকা দেওয়া, মোটামুটি তারা একটা খুবই মন খারাপ এতগুলো টাকা দিলাম  এখন ড্রেসের টাকা দিতে পারতেছিনা ঘরের এক কোনায় চুপ করে বসে আছি আর ভাবতেছি কী করব কতগুলা টাকা দিলাম যদি ড্রেসের টাকা দিতে না পারি তাহলে সবই লস হবে এই সব ভেবেই মন খারাপ করে বসে আছি ।

☑️ হঠাৎ আমার এক বড় ভাই এইসব শোনে এবং আমার কাছে পুরো ব্যাপারটা জানতে চায়,আমি বড় ভাইটাকে সব কিছু বলি, পরে সে আমাকে গ্রামীণফোনের হেড অফিসে যোগাযোগ করতে বলে এবং লোকেশন দিয়ে দেয় সে বলে জব এইভাবে হয় না তারা তো কিছুদিন পরপর টাকা চাইতেছে তুমি আর টাকা না দিয়ে গ্রামীণফোনের হেড-অফিস যাও, আর তাদের সাথে যোগাযোগ করো এবং বিষয়টা যাচাই করো দেখো সত্যি নাকি মিথ্যা। কথাটা শোনার পরে আমি তাকে বললাম পেপারে দেওয়া জব সার্কুলার কি মিথ্যা হয় নাকি? পরে এসে আমাকে বলল ভাই এরকম অনেক আছে যেগুলা মিথ্যা হয়, ভুয়া হয় এরা লোকাল পত্রিকা বিভিন্ন ধরনের বিজ্ঞাপন দিয়ে মানুষের সাথে প্রতারণা করে এবং বিভিন্নভাবে ফাঁদে ফেলে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নেয়।

☑️ তারা যেভাবে তোমার কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে এতে করে সন্দেহ মনে হচ্ছে, তুমি এক কাজ কর,তুমি গ্রামীণফোনের হেড অফিসে যেয়ে যোগাযোগ করো এবং তাদের সাথে কথা বলে সত্যি মিথ্যা যাচাই করো, জব দেওয়ার আগেই এতগুলো টাকা নিচ্ছে এরা ভালো নাও হতে পারে তুমি গ্রামীণফোনের হেড অফিসে যে তাদের সাথে যোগাযোগ করো এবং সবকিছু যাচাই বাছাই করো, বড় ভাইয়ের কথা শুনে তার কাছ থেকে গ্রামীণফোনের হেড অফিসের ঠিকানা নেই এবং ঠিকানা অনুযায়ী গ্রামীণফোনের হেড অফিসে যাই পেপার এবং তাদের দেওয়া ইমেইলে প্রিন্ট কপি গুলো, অফিসের কর্মরত এক অফিসারকে সব ডকুমেন্টস গুলো দেখায় সবকিছু দেখে সে বলে এগুলা সব ভূয়া করেছে তারা সবাই একটা প্রতারক চক্র এইটা শোনার পরে খুব হতাশ হয়ে গেলাম অনেক বড় একটা কষ্ট পেলাম নিজের অজান্তেই চোখ দিয়ে পানি পড়ে গেল।

☑️তারা আমার অবস্থা দেখে আমাকে বলল যে নাম্বার থেকে ফোন করা হয়েছে আমাকে ওই নাম্বারে ফোন দিয়ে কথা বলার জন্য তাদের কথামতো আমি ওই নাম্বারে ফোন করলাম এবং তাকে বললাম আমি গ্রামীণফোনের হেড অফিসে আছি আপনি আমার সাথে দেখা করেন উনি উত্তর আমাকে বলল উনি অফিসের কাজে বাহিরে গিয়েছেন এখন দেখা করতে পারবেন না, যখন আমি তাকে বললাম আমি অফিসের ভিতরে আপনি আমার সাথে দেখা করেন,অফিসে তো কেউ আপনাকে চিনতেছেনা,এই কথা বলার সাথে সাথে সে ফোনটা রেখে দিলেন এবং সাথে সাথে আমাকে ব্লক করে দিলেন তার কিছুক্ষন পরেই ফোনটা অফ করে রাখলেন। 

☑️ এরকম পরিস্থিতিতে  নিজেকে সামলাতে পারছিলাম না খুব খারাপ লাগছিল বুজতেছিলাম না কি করব গ্রামীনফোনের অফিসের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসা করলাম পত্রিকায় দেওয়া বিজ্ঞাপনও কি ফেক হয় বুঝতে পারল এবং বলল প্রায় সময়ই এরকম লোকজন আসে এইসব সমস্যা নিয়ে তারা আরও বলল কয়েকজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিয়েছে তারা আমাকে অনেক বুঝিয়ে বাসায় যাওয়ার জন্য বললো তারপর গাড়িতে উঠে গেলাম বাসায় গাড়িতে উঠে বসে ভাবতেছি এখন কি করবো আমি বন্ধুদের কাছ থেকে টাকা নিলাম বাসার থেকে টাকা নিলাম কিভাবে বন্ধুদের টাকাগুলো পরিশোধ করব আর নিজে কিভাবে চলব টাকা না দিতে পারলে বন্ধুদের সামনে যেতে পারব না এইসব ভেবে খুব লজ্জা লাগছিল অনেকদিন খোঁজ করার পর এবং অনেকদিন কষ্টে কাটানোর পরে একটি চাকরির সন্ধান পাই এবং ইন্টারভিউর মাধ্যমে চাকরিতে জয়েন করি আলহামদুলিল্লাহ এখন ও জব করছি।
✅ মতামত ঃআমর মতে চাকুরী করার চাইতে ব্যাবসা করা অনেক উওম।পড়ালেখা শেষ করে চাকুরী পেতে পেতে বয়স হয়ে যায় ২৫-৩০বছর।আমরা যেই সময়টা চাকুরী জন্যে ব্যয় করি,এতে করে জীবনের অধেক সময়  পাড় হয়ে যায়,কি থাকে আর জীবনে? 

তাছাড়া চাকরি পাওয়ার জন্য তো হয়রানি আছেই, আছে আরও বিভিন্ন ধরনের  ধোঁকাবাজদের ফাদ।
তাই চাকরির জন্য না ঘুরে অবশ্যই ব্যাবসা অনেক ভালো।অনেকের ধারণা ব্যাবসা করতে অনেক টাকা লাগে,অবশ্য এমন ধারনা আমার ও ছিল,কিন্তুু আমাদের স্যারের সেসনগুলো দেকে সব ধারনা পাল্টে গেছে, নিজের বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে ছাত্র জীবন থেকেই  একজন উদ্যেকতা হতে পারলে খুব তাড়াতাড়ি সাফলতা অর্জন করা যায়।

আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।আমি যেন ভাল মানুষ এবং ভাল উদ্যেক্তা হতে পারি।
এবং এই প্লাটফর্মের সেবায় নিয়োজিত হতে পারি।

স্ট্যাটাস অব দ্যা ডে"- ৪৫৩
Date:- ৩১/০১/২০২১

🔷**সাব্বির হাসান 🇧🇩 
🔷ব্যাচঃ- ১২
🔷রেজিঃ- ৪৫৮৯৭
🔷জেলা: মুন্সিগঞ্জ..
🔷 থানা: শ্রীনগর..
🔷বিভাগ- : ঢাকা..
🔷বর্তমান ঠিকানা : যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী জোন। 
🔷ব্লাড গ্রুপঃ- A+
🔷পেশাঃ- উদ্যোক্তা

ফরিদপুর জেলা টিম কর্তৃক আয়োজিত বৃক্ষরোপন কর্মসূচি -২০২৪

ইনশাআল্লাহ ফরিদপুর জেলার বাকি ৮টি উপজেলায় এই কর্মসূচি চলমান থাকবে। অনেক বেশি ধন্যবাদ Iqbal Bahar Zahid স্যার কে ॥

পর্দাশীল ঘরোয়া নারী- সফল উদ্যোক্তা

আমি রান্নাটা ভালো পারি, রান্নাটা নিয়েই পেজ খুলি অনলাইনে কাজ করি। প্রথম অর্ডার আসছিল পিৎজা ডেলিভারির। আলহামদুলিল্লাহ তারপর থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি ।